Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

At a glance

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর

৬ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে জনগণের বহুল প্রতীক্ষিত জনবান্ধব আইন “ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯” প্রণীত হয়েছে। এ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সারা দেশে প্রতিদিনই বাজার তদারকি করে অপরাধ দমনের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে এবং ভোক্তাগণ তাদের অধিকার লঙ্ঘিত হলে এই আইন অনুযায়ী অভিযোগ দায়েরের সুযোগ পাচ্ছেন। এ আইন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ভোক্তা ও ব্যবসায়ীগণ সচেতন হতে শুরু করেছেন। ভোক্তারা আইনের সুফল পেতে শুরু করেছেন।

এ আইনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়ন। এ আইনে অপরাধ আমলযোগ্য, আপোষযোগ্য এবং জরিমানাযোগ্য। বিভিন্ন নামে ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত অন্যান্য মন্ত্রণালয় প্রণীত আইনসমূহ বলবৎ থাকার প্রেক্ষাপটে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ একটি অতিরিক্ত আইন। ইহা মূল আইন না হলেও আইনটি সুসংহত এবং বিস্তৃত। এই আইনের ৩৭ হতে ৫৬ ধারায় বিভিন্ন অপরাধের বিবরণ ও দণ্ডের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এ আইনে আওতায় বিচারিক ব্যবস্থা মহুমাত্রিকঃ

ক্রমিক নং

বিচারিক ব্যবস্থার নাম

শাস্তির বিধান

১।

 প্রশাসনিক ব্যবস্থা (ধারা ৭০)

 জরিমানা, লাইসেন্স বাতিল এবং ব্যবসায়ী কার্যক্রম অস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে বন্ধকরণ।

২।

 ফৌজদারি ব্যবস্থা (ধারা ৫৭)

 মামালা দায়ের হলে সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২,০০,০০০/- টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।

৩।

 দেওয়ানী প্রতিকার ধারা (৬৬-৬৭)

 নিরুপিত ক্ষতির ৫ গুণ পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপূরণের রায় হতে পারে।

 (ক) ত্রুটিপূর্ণ পণ্য যথাযথ পণ্য দ্বারা প্রতিস্থাপনের জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান।

 (খ)ত্রুটিপূর্ণ পণ্য ফেরত গ্রহণ করে উক্ত পণ্যের মূল্য বাদীকে ফেরত প্রদান করার জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান;

 (গ) ক্ষতিপূরণের জন্য বাদীকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ যা আর্থিক মূল্যে নিরুপিত ও প্রমাণিত ক্ষতির অনূর্ধ্ব ৫ গুণ পর্যন্ত হতে পারবে, প্রদানের   জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান, মামলার খরচ প্রদানের জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান।

৪।

 বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪( ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন   ২০০৯ এর ধারা ৭২)

 ঔষধে ভেজাল মিশ্রণ না নকল ঔষধ প্রস্তুতের জন্য মামলা দায়ের করলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। (ঔষধে ভেজাল মিশ্রণ বা নকল ঔষধ প্রস্তুত করা হচ্ছে কিনা অনুসন্ধান করে তা উদঘাটন করার ক্ষমতা ও দায়িত্ব মহাপরিচাল্কের থাকলেও তাদের বিষয়ে এই আইনের অধীন কোন বিচার বিভাগীয় কার্যক্রম গ্রহণ বা ম্যাজিস্ট্রেট  আদালতে মামলা দায়ের করা যাবে না। বর্ণিত অপরাধটি স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে বিচার্য।)